এমটিবি ফাউন্ডেশন এবং ইউসেপ বাংলাদেশ মধ্যে ময়মনসিংহে “এমটিবি-ইউসেপ স্কিলস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (মুষ্টি)” নামক একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২0২৮ পর্যন্ত চলবে, যার মাধ্যমে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১,২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত ১৭–৩৫ বছর বয়সী যুবকদের আধুনিক, চাহিদাভিত্তিক কারিগরি দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীরা ছয় মাসব্যাপী ৩৬০ ঘণ্টার একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে, যা পাঁচটি চাহিদাসম্পন্ন ট্রেডে পরিচালিত হবে— ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, বিউটিফিকেশন, বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি প্রোডাকশন এবং গ্রাফিক ডিজাইন।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো স্থানীয় দক্ষতা ঘাটতি পূরণ, পেশাগত বিকাশে সহায়তা এবং টেকসই জীবিকার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত যুব ও নারীদের আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে সমাজে একটি ইতিবাচক সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করা।
এমটিবি ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান, রাশেদ চৌধুরী; এমটিবি বোর্ডের পরিচালক ও এমটিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, খাজা নারগিস হোসেন; এমটিবি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান; এমটিবি ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), সামিয়া চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন, উজমা চৌধুরী, সিপিএ; ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস-এর সাবেক চেয়ারপারসন, ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং এ. মতিন চৌধুরী; এবং ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক, ড. মো. আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে এমটিবি ও ইউসেপ বাংলাদেশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। তারা ইউরো-এশীয় অঞ্চলের উচ্চচাহিদাসম্পন্ন শ্রমবাজারে বাংলাদেশের যুবসমাজের সম্ভাবনাকেও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।
মুষ্টি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জাতীয় টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর স্বীকৃত সনদ অর্জনের সুযোগ থাকবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কর্মজীবনে তাদের মসৃণ প্রবেশের জন্য একটি নিবেদিত জব প্লেসমেন্ট প্রোগ্রাম থেকেও উপকৃত হবেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ময়মনসিংহ অঞ্চলের যুবসমাজ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে টেকসই জীবিকা গঠনে সহায়তা পাবে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক ও স্থায়ী সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করা যায়।